দিনাজপুরের বিরল প্রজাতির একটি লক্ষ্মীপেঁচা উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বিরল উপজেলার ১০নং রানিপুকুর ইউনিয়নের বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয় ক্লাসরুম থেকে এ লক্ষ্মীপেঁচাটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয়ের কর্মচারী শাহীন ক্লাসরুম খুলতে গিয়ে পেঁচাটি দেখতে পায়। পরে ওই কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক বিধান দত্ত পেঁচাটিকে সংরক্ষণ করে রাখেন।
পরে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পরিবেশবিদ তুহিন ওয়াদুদ এবং ডেপুটি ফরেস্ট অফিসার আনোয়ার হোসেনকে খবর দেওয়া হয়। পরে একজন বন বিভাগের পক্ষ থেকে একজন বনকর্মীকে পাঠানো হলে তিনি পেঁচার বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এ ছাড়া বিরল প্রজাতির এ লক্ষ্মীপেঁচাটিকে শনাক্ত করে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রভাষক বিধান দত্ত।
এ ছাড়া বিরল প্রজাতির এ লক্ষ্মীপেঁচাটিকে শনাক্ত করে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রভাষক বিধান দত্ত।
লক্ষ্মীপেঁচা সর্ম্পকে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা বলেন, ‘লক্ষ্মীপেঁচা (Barn owl) সারাদেশেই কম-বেশি দেখা যায়। গাছের উঁচু ডাল, পরিত্যক্ত বাড়ি, গাছের কোটর ইত্যাদি অন্ধকারাচ্ছন্ন নির্জন পরিবেশে থাকতেই এরা সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। প্রাণীটি ইঁদুরসহ ফসলের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে কৃষকের উপকার করে। কিন্তু কুসংস্কার, বৈরী পরিবেশ, খাদ্যের অভাব, আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া ছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচার প্রতি কাকসহ কয়েকটি পাখির শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব এবং আক্রমণ ইত্যাদি কারণে এটি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবীর স্বার্থে এই পাখিটি রক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন এই বন কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন