রামগড় ও বিলোনিয়া স্থলবন্দর চালু করতে কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। স্থলবন্দরের ভৌগোলিক অবস্থান, আন্তঃদূরত্ব, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, রাজস্ব আয়, যাত্রী আগমন ও বহির্গমন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা যাচাই করে মতামত দিতে এ কমিটি গঠন করা হয়।
গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি সংক্ষিপ্ত অফিস আদেশ জারি করে।
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন বিলোনিয়া ও রামগড় স্থলবন্দর সংক্রান্ত এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আদেশে বিলোনিয়া এবং রামগড় স্থলবন্দর সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ট্রাফিক।
সদস্য হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
রামগড় এবং বিলোনিয়া স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক বন্দরসমূহের ভৌগোলিক অবস্থান, আন্তঃদূরত্ব, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, রাজস্ব আয়, এসব স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী আগমন ও বহির্গমন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা যাচাইপূর্বক মতামত প্রদান করবে কমিটি। এছাড়াও বর্ণিত বন্দরসমূহ ব্যবহারকারী পক্ষসমূহের বিদ্যমান এবং সম্ভাবনাময় আমদানি-রপ্তানি পণ্য, পরিমাণ এবং পক্ষসমূহ কর্তৃক অর্থনৈতিক সুফল ভোগের বিষয়ে বন্দরভিত্তিক তুলনামূলক পর্যালোচনাপূর্বক মতামত প্রদান করতে বলা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মতামত এবং সুপারিশসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১২ জানুয়ারি) স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনে কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন