‘লাকুম দ্বীনুকুম, ওয়াল ইয়া দ্বীন। তোমাদের ধর্ম তোমাদের, আর আমার ধর্ম আমার। তার সাথে কীসের হিসাব, যিনি বেহিসাবে দান করেন।’ ইসলামি শর্ট ফিল্মে এমন অসংখ্য ডায়ালগ দিয়ে দর্শকদের মনজয় করে নিয়েছেন ১৪ বছর বয়সী নোয়াখালীর নাহিদুল ইসলাম। একসময় টিকটক করা নাহিদ এখন নিয়মিত বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক সচেতনতামূলক শর্ট ফিল্মে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
আবু জাফর এবং নাজমা আক্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ছোট নাহিদুল ইসলামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আবিরপাড়া গ্রামে। স্থানীয় আবিরপাড়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদ।
মাহমুদ এইচএম এর পরিচালনায় ‘মাটির ব্যাংক’ নামক একটি শর্ট ফিল্মের মাধ্যমে দেশ বিদেশে প্রথম আলোচনায় আসেন নাহিদ। এই শর্ট ফিল্ম দিয়েই দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কাছে প্রথম ব্যাপকভাবে পরিচিতি পান তিনি। বিগত বছরের শেষ দিকে ‘দাওয়াত’ নামের আরেকটি শর্ট ফিল্মের অভিনয় দিয়ে নেটিজেনদের নিকট আবারও আলোচনা উঠে আসেন নাহিদ। ফেসবুকে আপলোডের পরেই প্রায় দেড় কোটিতে পৌঁছে যায় স্বল্প দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্রটির ভিউ। এভাবে দেশের ইসলামিক কন্টেন্ট জগতে বিভিন্ন সময় আলোচনায় আসেন এই খুদে অভিনেতা।
সম্প্রতি নাহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘আগে টিকটক করতাম। এখন প্রেংকি বয়েজ এর মাহমুদ ভাইয়ের সঙ্গে ইসলামিক শর্ট ফিল্ম করার পর থেকে সবাই আমার বেশ প্রশংসা করছেন। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি আরও বড় পরিসরে ইসলামিক নাটক ও শর্ট ফিল্মে অভিনয় করতে চাই।’
নহিদের বাবা আবু জাফর বলেন, ‘রাস্তা ঘাটে বের হলেই সবাই ছেলের প্রশংসা করে। বাবা হিসেবে এটা শুনেই ভালোই লাগে। সে পড়াশোনার পাশাপাশিই এসব করছে। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।’
প্রেংকি বয়েজ টিমের পরিচালক মাহমুদ এইচএম বলেন, ‘গ্রামের ছেলেদের অভিনয়ে আগ্রহ কমই থাকে। নাহিদ অভিনয় আসার পর আমাদের অডিয়েন্সরা তো পাগলপারা হয়ে গেছে। এখনো সেটা অব্যাহত আছে। নাহিদকে আমরা কোনো ক্যারেক্টার যেভাবে করতে বলি, সে এর চাইতে ভালো করে। তার পথচলাটা মাত্র শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আরও ভালো করবে ইনশাআল্লাহ।’
আবিরপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসাইন কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী নাহিদ অভিনয়ের মাধ্যমে যে সত্যগুলোকে তুলে ধরে তা নিশ্চয়ই প্রশংসাযোগ্য। মাদ্রাসার প্রত্যেক শিক্ষকই তাকে পছন্দ করেন। আমরা তার সফলতা কামনা করি।’
মন্তব্য করুন