রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় ভাতিজাদের মারপিটে চাচার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বালাপালা ইউনিয়নের গের্দ্দবালাপাড়া চান্দের ভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমজাদ হোসেন (৫৫) উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বুদ্ধিরবাজার এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে এবং শহীদবাগ ইউনিয়নের ছাত্রদলের সহসভাপতি রোমান আহমেদের বাবা।
এদিকে, নিহতের বড় ছেলে রায়হান বাদী হয়ে শহিদুলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।
নিহতের মামাতো ভাই ও শহীদবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাজু মিয়া বলেন, আমজাদ হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে তার ভাতিজা শহিদুলের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ল্যান্ড সার্ভে আদালতে মামলা চলামান রয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহিদুল লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলনের চেষ্টা করে। এ সময় বিরোধপূর্ণ জমি থেকে মাটি উত্তোলনে বাধা দেন আমজাদ হোসেন। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ভাতিজা শহিদুল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমজাদ হোসেনকে মারপিট করলে তিনি ঘটনাস্থলেই আহত হন। এ সময় চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রাত ৩টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে স্বজনরা নিহতের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিরোধপূর্ণ জমিতে মাটি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মারামারির খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মারপিটে মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে নিহত আমজাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরইমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য তা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন