সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় শিশু বলাৎকারের অভিযোগে সেই বিএনপি নেতা জুয়েল রানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত এক পত্রে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অভিযুক্ত জুয়েল রানা চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ কালবেলাকে বলেন, দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় ও ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করায় জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সিদ্ধান্ত মোতাবেক জুয়েল রানাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মোবাইল ফোনের মেসেজ আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিশুটির সঙ্গে জুয়েল রানার পরিচয় হয়। শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় স্থানীয় বিএনপির একটি জনসভা চলাকালে সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয়। সেই সূত্র ধরে শনিবার রাত ১১টার দিকে জরুরি কথা আছে বলে চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায় জুয়েল। এরপর সেখানে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে বলাৎকার করে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রোববার (১২ জানুয়ারি) উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জুয়েল রানাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জুয়েল রানাকে জবাব দিতে বলা হয়। একই দিন অপর একটি চিঠিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
চৌহালী থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগ মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন