খুলনার কয়রায় সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুসহ ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যান ও ১১ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আদালতে এ মামলা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম বাহারুল ইসলাম, বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ গাজী, একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার পাড়, উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. সালাউদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশরাফুজ্জামান ও নাসির উদ্দিনসহ আট পুলিশ সদস্য, একাধিক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, আইনজীবী এবং জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।
মিথ্যা মামলায় হয়রানি, ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের সরিষামুট গ্রামের বাসিন্দা মো. নূরুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা বিভিন্ন সময়ে বাদীর কাছে চাঁদা দাবি করে হুমকি দিত। পুলিশ সদস্যরা নাশকতার মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানোসহ ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে চাঁদা গ্রহণ করত। একপর্যায়ে খুলনা জেলা আদালতে মামলার হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় আসামিরাসহ ১০০/১২০ সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পরবর্তীতে আসামিরা চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বাদীর বসতঘরে প্রবেশ করে বাদীর স্ত্রী ও পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং লুটপাট করে।
মামলার বাদী মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদা আদায়সহ ঘরবাড়ি লুটপাট করেছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আশা করছি ন্যায়বিচার পাব।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি ন্যায়বিচার পাবে।
মন্তব্য করুন