বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী হায়দার আলীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুণ পাল।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রায়ে আদালত আসামি হায়দার আলীকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ২ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাঙামাটির বাঙ্গালহালিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে রিজিয়া পারভিন রুপার সঙ্গে বিয়ে হয় একই জেলার রাইখালি ইউনিয়নের হায়দার আলীর। পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে যান রিজিয়া। সেখান থেকে ২০২১ সালের ৭ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টায় বাঙ্গালহালিয়া চাচির বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। পরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পর দিন ৮ আগস্ট বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের গলাচিপা এলাকায় হাত-পা বাঁধা ও গলা কাটা অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই রিজিয়ার কথিত সাবেক প্রেমিক কাজল হোসেনের বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় মামলা করেন। তবে তদন্তে হত্যাকাণ্ডে রিজিয়ার স্বামী হায়দার আলীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। আদালতে বিষয়টি প্রমাণ হলে বিচারক এ রায় দেন।
আরও জানা যায়, মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারের জন্য মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। বিচার চলাকালীন আসামি কারাগারে আটক ছিলেন।
সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন ভূঁইয়া। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবু জাফর।
মন্তব্য করুন