বগুড়ার শাজাহানপুরে বিয়ের দাবিতে সাব্বির আহম্মেদ নামে এক স্কুলশিক্ষকের কর্মস্থলে গিয়ে হাজির হয়ে বিয়ের দাবি জানিয়েছেন এক প্রেমিকা। গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার চাঁদবাড়িয়া মানিকদিপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মানিকদিপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস সুরাইয়া বলেন, সাব্বির আহম্মেদ নামের একজন সহকারী শিক্ষক গত ১ জানুয়ারি আমার স্কুলে যোগদান করেন। সোমবার স্কুলে টিফিন চলাকালে দুপুর দেড়টার দিকে এক নারী স্কুলে হাজির হন এবং সহকারী শিক্ষক সাব্বিরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। এ সময় ওই নারী জানান, শিক্ষক সাব্বির আহম্মেদ তার প্রেমিক। তার সঙ্গে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তিনি স্কুল ছেড়ে যাবে না। বিষয়টি এলাকার ছড়িয়ে পড়লে নারী-পুরুষ স্কুলে ভিড় জমায়। এমন অবস্থায় বিষয়টি সামলাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানকে জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান স্কুলে উপস্থিত হন এবং উভয়পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিকাল ৫টা পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। পরে স্কুল ছুটির পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান। কিন্তু শিক্ষক সাব্বির ও তার প্রেমিকাকে ঘিরে উৎসুক জনতা বিদ্যালয় চত্বরেই থেকে যায়।
আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, ছেলে ও মেয়ের সম্মতিতে রাত ৮টার দিকে স্থানীয় একটি বাড়িতে নিকাহ নিবন্ধকের (কাজী) মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আড়িয়া ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধক (কাজী) নুরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ছেলে ও মেয়ের সম্মতিতে ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন