চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা সদরে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা এলাকায় বিএনপি-যুবদলের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহতের ঘটনায় মামলায় করা হয়েছে। এ ঘটনায় মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়কসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতেই নিহত জাহেদ হোসেন মুন্নার ভগ্নিপতি আরাফাত হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় মিরসরাই পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহেদ হোসেন মুন্না (২২) নিহত হন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান (৩৭), নাজমুস সাকিব মারুফ (২২), শাহ আলম (৪৭) ও আরমান (২৬)।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর মিরসরাই স্টেডিয়ামে চলা মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের কথাকাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরুলের অনুসারীরা জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় জাহেদ হোসেন মুন্নাসহ ১০ জন আহত হন। পরে মারা যান জাহেদ হোসেন মুন্না। তিনি মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইনের অনুসারী।
মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহতের ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন নিহত জাহেদ হোসেন মুন্নার ভগ্নিপতি আরাফাত হোসেন। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন