সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় শিশু বলাৎকারের অভিযোগে বিএনপি নেতা জুয়েল রানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। অভিযুক্ত জুয়েল রানা চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে চৌহালী থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে বিএনপি নেতা জুয়েল রানার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার বাবা। আমরা মামলার তদন্ত শুরু করেছি।
এদিকে শিশু বলাৎকারের অভিযোগটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জুয়েল রানাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে উপজেলা বিএনপি। একই সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে দলটি।
জানা যায়, মোবাইল ফোনের মেসেজ আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিশুটির সঙ্গে জুয়েল রানার পরিচয় হয়। শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় স্থানীয় বিএনপির একটি জনসভা চলাকালে তাদের দেখা হয়। সেই সূত্র ধরে শনিবার রাত ১১টার দিকে জরুরি কথা আছে বলে চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায় জুয়েল। পরে সেখানে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে বলাৎকার করে।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে রোববার (১২ জানুয়ারি) উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জুয়েল রানাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জুয়েল রানাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই দিন অপর একটি চিঠিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা কালবেলাকে জানান, জুয়েল রানার বিরুদ্ধে শিশু বলাৎকারের অভিযোগটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরে তাকে শোকজ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. হামিদুল ইসলাম দুলালকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. জাহাঙ্গীর শিকদার ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি আরমান হোসেন হাবিব।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. জুয়েল রানা কালবেলাকে বলেন, আমার বাবা বাঘুটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নির্বাচন করেছেন। এবার আমি নির্বাচন করব। এ কারণে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে আওয়ামী লীগের লোকজন ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা সঠিক নয়।
মন্তব্য করুন