চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা সদরে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা এলাকায় দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিরসরাই পৌর সদর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবদল কর্মীর নাম জাহেদ হোসেন মুন্না (২০)। তিনি মিরসরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গোভনীয়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং নির্মাণ সামগ্রী সাপ্লাইয়ের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আহতরা হলেন- মো. শাকিল (১৮), রাহাত হোসেন (১৬), হৃদয় (২৭) ও হাসান (২৮)।
আহত শাকিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পরে মিরসরাই স্টেডিয়ামে বাণিজ্য মেলায় মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের সঙ্গে মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জাহিদের অনুসারীদের হামলায় কামরুলের এক কর্মী আহত হয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরুলের অনুসারীরা জাহিদের বাড়িতে এবং তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন গলিতে যুবদল কর্মী জাহেদ হোসেন মুন্না ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিরসরাই পৌরসভা যুবদল কর্মী রিয়াদ হোসাইন জানান, মেলায় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল কর্মী মুন্না নিহত হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। নিহত মুন্না দলের নিবেদিত কর্মী ছিল।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তন্ময় জামশেদ আলম বলেন, জাহিদ হোসেন মুন্নাকে হাসপাতালে আনার আগে মারা গেছে। এই ঘটনায় মো. শাকিল, রাহাত হোসেন ও হৃদয় নামে তিনজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। শাকিলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান মজুমদার কালবেলাকে বলেন, মুন্না নামে একজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইন ও যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের আধিপত্য বিস্তার থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। এ ঘটনায় দুই পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে মিরসরাই স্টেডিয়ামে শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে বিচ্ছিন্নভাবে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন