শেখ হাসিনা ভারতের সেবা দাস হয়ে সারা জীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় মাদারীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত দলীয় কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা-উত্তর ক্ষমতায় এসে অল্পদিনের মধ্যে গণতন্ত্রের সব পথ রুদ্ধ করে দিলেন। সারাজীবন তিনি গণতন্ত্রের কথা বললেন, যখনই তিনি ক্ষমতায় আসলেন তখন এই ক্ষমতায় আসার পার্লামেন্টোরি সিস্টেম আপডেট ডেমোক্রেসি তিনি বন্ধ করে দিলেন। তিনি নিজে রাষ্ট্রপতি সাজলেন, সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে এবং সরকারের পছন্দের চারটি সংবাদপত্র ছাড়া সব সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করে দিলেন। বাকশাল কায়েম করলেন।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের সিঁড়িটা শেখ মুজিব ফেলে দিলেন। গণতন্ত্রের উঠান আর সিঁড়ি না থাকায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে ধপাশ করে পড়ে যেতে হয়। হাসিনাও ১৪, ১৮ এবং ২৪-এর নির্বাচনে ওঠানামার এ গণতন্ত্রের পথকে রুদ্ধ করে একাই কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করে অত্যাচারী শাসকে রূপান্তরিত হয়েছিল। সে ভেবেছিল, যতদিন সে বেঁচে থাকবে ততদিন কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ’
তিনি বলেন, ‘এই ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর জামায়াতে ইসলামী বাদী হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান কায়েমের জন্য আদালতে মামলা করেছে। আমরা সুবিচার পেয়েছি। ইনশাল্লাহ সামনে অবশ্যই তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার কাছে পার্লামেন্ট ও আদালতের মূল্য ছিল না। আর এ কারণেই কিন্তু জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে কোটার কথা ভুলে হাসিনার পতনের জন্য এক দফা দাবি করতে লাগল। ’
তিনি আরও বলেন, ‘পলায়ন করার চার দিন আগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিলেন হাসিনা। আর পাঁচ দিনের মাথায় শেখ হাসিনাই নিষিদ্ধ হয়ে গেল। আমাদের আল্লাহ তায়ালা মর্যাদার উচ্চ আসনে উন্নীত করে দিল।’
মাদারীপুর লেকপাড় মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ। জামায়াতে ইসলামীর মাদারীপুর জেলা আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমানের সভাপতি অনুষ্ঠিত এ কর্মী সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন