আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নেওয়া ১৪ প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কমিটি। প্রথম দিনে কমিটির সদস্যরা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডকুমেন্টস সংগ্রহ ও প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পরে তারা কয়েকটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ জানুয়ারি) সিডিএর সম্মেলন কক্ষে প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এ সময় তারা প্রকল্প পরিচালকদের কাছে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি, ঠিকাদার নিয়োগ, প্রকল্প নেওয়ার কারণসহ প্রকল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় জানতে চান। তদন্ত কমিটি আগামী সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
ক্ষমতার পালাবদলের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা এবং এসব প্রকল্প বিষয়ে যে অভিযোগগুলো পাওয়া গেছে তা তদন্ত করতে গত মাসে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ কমিটি গঠন করে। কমিটিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. কামাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও সিডিএর সচিব রবীন্দ্র চাকমাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার উপসচিব নাজমুল আলম, সিডিএর বোর্ড সদস্য স্থপতি জেরিনা হোসাইন ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ কুদরত আলী।
তদন্তাধীন ১৪টি প্রকল্প হলো নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার, মুরাদপুর ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, কালুরঘাট থেকে চাক্তাই পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, বাকলিয়া সংযোগ সড়ক, সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্প, সিডিএ স্কয়ার প্রকল্প, কল্পতরু প্রকল্প, সল্টগোলা ডরমেটরি প্রকল্প, বায়েজিদ লিংক রোড প্রকল্প, কল্পলোক আবাসিক ও অনন্যা আবাসিক প্রকল্প।
সিডিএর সচিব ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব রবীন্দ্র চাকমা কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা কল্পলোক ও অনন্যা আবাসিকসহ ১৪টি প্রকল্পের বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। এখন তদন্তের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা ১৪টি বড় প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের কাজ শুরু করেছি। প্রকল্পগুলোর ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছি৷ শনিবার চট্টগ্রামে দিনভর কাজ করেছি। চারটা প্রকল্প পরিদর্শন করেছি। আমাদের হাতে দুই মাস সময় আছে।’
মন্তব্য করুন