চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে গ্রিন সিটির আওতায় আনা হবে। এজন্য আমরা প্রথমে গণসচেতনতার দিকে যাচ্ছি। এরপর নগরীকে সুন্দর করার জন্য বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ করব।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে কাজির দেউরি বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে বিন বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম নগরীকে গ্রিন, ক্লিন ও হেলদি সিটি হিসেবে গড়তে ব্যবসায়ীদের মাঝে বর্জ্য সংগ্রহের এ বিন বিতরণ করা হয়।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনের মূল প্রতিশ্রুতি ছিল এ শহরকে সুন্দর করা। ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটির আওতায় আনা। চট্টগ্রামের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, প্রত্যেকটি মার্কেট ও প্লেসে আমরা বর্জ্য সংগ্রহের প্লাস্টিকের বিন বিতরণের শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, দুতিন মাস পরে বর্ষা মৌসুম আসছে। বর্ষার সময় জলাবদ্ধতা আমাদের শহরের প্রধান সমস্যা। জলাবদ্ধতার মূল কারণ হচ্ছে পলিথিন, প্লাস্টিক, কর্কশিটসহ অপচনশীল দ্রব্যাদি। এগুলো আমরা যত্রতত্র ফেলি। অপচনশীল এসব দ্রব্যাদি ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। যত্রতত্র নালা-নর্দমার মধ্যে ফেললে এগুলোই কিন্তু আমাদের মারাত্মক ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অপচনশীল দ্রব্যাদির কারণে বর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি যাচ্ছে। তাই এখন থেকে আমরা গণসচেতনতার অংশ হিসেবে প্রত্যেক জায়গায় বর্জ্য সংগ্রহের প্লাস্টিকের বিন বিতরণ শুরু করেছি।
চসিক মেয়র বলেন, আমরা আজকে বাজারে ডাস্টবিন বসাচ্ছি। এটা শুধু বাজারে নয়, ছোট ছোট ডাস্টবিন প্রত্যেকটা দোকানের সামনে দিয়ে দিব। আমরা চাই ময়লা আবর্জনা সবাই খোলা জায়গায় না ফেলে সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিনগুলোতে যাতে ফেলে। তাহলে আমরা শহরকে সুন্দর রাখতে পারব। আমি মনে করি প্রত্যেকটা দোকানদার তার দোকানের ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলবে। দোকানের সামনে বর্জ্য সংগ্রহের প্লাস্টিকের বিন দেওয়ার পরেও ময়লা পড়ে থাকলে সে দোকানের তার ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
বিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীসহ বাজার কমিটির নেতারা।
মন্তব্য করুন