জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ি টুঙ্গীপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের অন্য কোথাও তার চোখ পড়েনি। চা শিল্পেও শেখ পরিবার ভাগ বসিয়েছে।
রোববার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান মাঠে আয়োজিত চা শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
সারজিস আলম আরও বলেন, চা বাগানে কোনো মদের পাট্টা থাকা উচিত নয়, সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চা শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
জানা যায়, ন্যাশনাল টি-কোম্পানি লিমিটেডসহ (এনটিসিএল) সব চা বাগান অবিলম্বে চালু করা, শ্রমিক ও চা শিল্প রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করা এবং মনুষ্যোচিত মজুরি, শিক্ষা স্বাস্থ্য বাসস্থান ও চাকরি নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন দাবিতে চা শ্রমিকদের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ বলেন, জুলাই অভুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনৈতিক বৈষম্য, শোষণ-পীড়নের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যচ্ছি। চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে বৈষম্যের শিকার। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় অবাধ লুটপাট চা শিল্প ও শ্রমিককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চাকরির নিশ্চিয়তাসহ সর্বোপরি চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে।
কুরমা চা বাগান মাঠে পঞ্চায়েত কমিটি ও চা ছাত্র যুবসংঘের আয়োজনে চা শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু দলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
চা শ্রমিক আপন বোনার্জি রুদ্র ও ভিম্পল সিংহ ভোলার যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব ও কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খাঁন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন