খুলনা সিটি করপোরেশন ৪নং ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর গোলাম রব্বানি টিপুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনার দেয়ানা উত্তরপাড়া মাঠে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শনিবার ভোরে দৌলতপুরের দেয়ানা হোসেন শাহ সড়কে নিজ বাড়িতে টিপুর মরদেহ নিয়ে এলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাকে দেখতে শত শত মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়। লাশ দেখে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান। তবে অজানা আতঙ্ক লক্ষ করা গেছে এলাকার মানুষের মধ্যে।
এক সময়কার ছাত্রমৈত্রী নেতা গোলাম রব্বানী টিপু জড়িয়ে যান চরমপন্থি দলে। সেখানে নাম লিখিয়ে দীর্ঘদিন ছিলেন এলাকার বাইরে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এলাকায় গিয়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সর্বশেষ ছিলেন নগর সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। ২০১৫ সালে প্রভাবশালী চরমপন্থি নেতা বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদ হত্যার শিকার হলে টিপুকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছিলেন শহীদের পরিবার।
কক্সবাজারে তার কোনো শত্রু থাকার কথা জানে না পরিবারসহ এলাকার মানুষ। সবারই ধারণা, স্থানীয় শত্রুরাই তার জনপ্রিয়তার কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
একই সুরে কথা বললেন তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম আকবর। ছেলের জানাজায় যাওয়ার সময় কালবেলার সঙ্গে তার কথা হয়। তিনি বলেন, মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে আমাকে কল দিয়ে বলেছিল, কয়েকটি কম্বল আছে এগুলো মানুষকে দিতে হবে।
তিনি বলেন, এখন যারা গোপনে আনন্দ করছে তাদের ধরুন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করুন। খুলনা থেকে লোক গিয়ে তাকে ফুসলিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে নিয়ে গেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে সন্ত্রাসীদের গুলিতে টিপু নিহত হন। এ ঘটনায় রাতেই খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইফতেখার চালুসহ দুজনকে আটক করেছে র্যাব।
মন্তব্য করুন