কক্সবাজার সৈকতে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু (৫৫) নিহতের ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে ও বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে সালু (৫৩)। তিনি ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল সীহিল থেকে আটক করে র্যাব। পরে শুক্রবার ভোরে র্যাব কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার বাসিন্দা মেজবাহ হক ভুট্টোকে আটক করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গোলাম রব্বানী টিপু সৈকত তীরের হোটেল সীগাল সংলগ্ন ঝাউবনের ভেতরে গতকাল রাতে কাঠের তৈরি সেতুর পাশে হাঁটছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে টিপুর মাথায় গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যান। পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু, শেখ ইফতেখার বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারে আসেন। তারা সকাল ৭টার দিকে শহরের কলাতলী এলাকার হোটেল গোল্ডেন হিলে ওঠেন। হোটেলের অতিথি লিপিবদ্ধ বইয়ে দেখা গেছে, আটক ইফতেখার ও নিহত গোলাম রব্বানী টিপুর সঙ্গে রুমি (২৭) নামে এক নারীও ছিলেন। ওই নারী পলাতক রয়েছেন। সূত্র জানায়, পলাতক রহস্যময়ী নারী রুমি খুলনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী।
এইচএম সাজ্জাদ হোসেন আরও জানান, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ওই নারীসহ নিহত কাউন্সিলর টিপু হোটেল থেকে বের হন। এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন হোটেল সীগালের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর হত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে। এর মধ্যে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে আজ শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত গোলাম রব্বানী টিপুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হতভাগা টিপুর ভগ্নিপতি ইউনুস আলীর নেতৃত্বে স্বজনরা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে মরদেহ গ্রহণ করে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মন্তব্য করুন