চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও শীর্ষ ঋণ খেলাপি আশিকুর রহমান লস্করকে ৫ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। গ্র্যান্ড ট্রেডিং নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ন্যাশনাল ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ১৮৯ কোটি টাকা ঋণ নেন লস্কর। তবে তিনি ঋণ পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচার মুজাহিদুর রহমান এ আটকাদেশ দেন।
আশিকুর রহমান লস্কর নগরের খুলশী এলাকার বাসিন্দা। ২০২৩ সালে তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
২০১৮ সালে গ্র্যান্ড ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজের নামে ন্যাশনাল ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ১৭৫ কোটি টাকা ঋণ নেন আশিকুর রহমান লস্কর। পরে ঋণ পরিশোধ না করে পালিয়ে যান। ব্যাংকের নথিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের উত্তর সোনাছড়িতে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছিল। বাস্তবে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব পায়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর আশিকুর রহমান লস্করের বিরুদ্ধে ১৭৫ কোটি টাকার অর্থঋণ মামলা দায়ের করে ন্যাশনাল ব্যাংক। আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু এরপরও গত দুবছরে ঋণ পরিশোধ না করায় বর্তমানে ব্যাংকের কাছে আশিকুরের দেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪২ টাকা। নালিশি ঋণের বিপরীতে ওই পরিমাণ সম্পদ বন্ধক না থাকায় এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ন্যাশনাল ব্যাংক।
মামলায় পরের বছরের ২২ মার্চ ডিক্রি হয়। এতে ৬০ দিনের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ওই ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিবাদির বিরুদ্ধে ১৮৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪২ টাকা আদায়ের দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, গ্র্যান্ড ট্রেডিং নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া ঋণ খেলাপি হলে আশিকুর রহমান লস্করের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা একটি মামলা দায়ের করে। এ নালিশি ঋণের বিপরীতে কোনো বন্ধকি সম্পত্তি না থাকায় নিলাম কার্যক্রম করা সম্ভব হয়নি। সার্বিক বিবেচনায় ওই খেলাপি ঋণ পরিশোধে বাধ্য করার প্রয়াস হিসেবে আদালত লস্করের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আটকাদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মন্তব্য করুন