বরিশাল নগরীর বাজার রোডের পাইকারি দোকানিকে মেয়াদোত্তীর্ণ সরিষার তেল বিক্রির দায়ে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে ভোক্তা অধিকারের চালানো এ অভিযানে ২৮৮ লিটার তেল জব্দ করে ধ্বংসের জন্য বাজার কমিটির জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া নগরীর ফরিয়াপট্টির চালের আড়তদারদের সতর্ক করেন অভিযানে থাকা কর্মকর্তারা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, কিছুদিন আগে নগরীর কেডিসি এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মো. বাদশা লিখিত অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ সরিষার তেল তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার দুপুরে হাটখোলা এলাকায় মেসার্স অন্নদাতা স্টোরে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ সরিষার তেল বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় সেখান থেকে ৮ লিটারের ২৪টি এবং ১৬ লিটারের ৬টি টিনের জারে ২৮৮ লিটার সরিষার তেল পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওই তেল বিক্রির দায়ে ৩০ হাজার টাকা এবং আড়তদারের দামের তালিকায় ঘষামাজা থাকায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া অভিযোগকারীর ৮ লিটার সরিষার তেলের জার বাবদ ৩ হাজার ২২০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ তেল ধ্বংসের জন্য সেখানকার বাজার কমিটির জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ফরিয়াপট্টি এলাকায় চালের আড়তে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সরু চালের দাম বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলেন কর্মকর্তারা। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন তারা।
চালের আড়তদার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে সরু চালের (মিনিকেট) দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এ চালের ধানটা বছরের বৈশাখ মাসে পাওয়া যায়। এরপর আর এ ধান হয় না। এ কারণে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশাখ মাসে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। বাকি অন্য চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।’ আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, বরিশালে চালের কোনো সিন্ডিকেট নেই। এটি একটা গুজব।’
মন্তব্য করুন