বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সেতু পার হতে হয় সিঁড়ি বেয়ে, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

বরিশালের বাকেরগঞ্জ নির্মিত পালপাড়া সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় ওঠানামা করতে হয় সিঁড়ি বেয়ে। ছবি : কালবেলা
বরিশালের বাকেরগঞ্জ নির্মিত পালপাড়া সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় ওঠানামা করতে হয় সিঁড়ি বেয়ে। ছবি : কালবেলা

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের পরিষদ ও মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিয়ামতি খালের ওপর নির্মিত পালপাড়া সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় ওঠানামা করতে হয় সিঁড়ি বেয়ে। গত দুই যুগ ধরে এ বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছে নিয়ামতি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়া দুপাশের রেলিং ভেঙে যাওয়ায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোনো সময় সেতুটি ধসে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটি সমতল থেকে ৫ থেকে ৬ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে। যে কারণে এই সেতু দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না দুই যুগ ধরে। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন রুপার জোর, কৃষ্ণনগর, পালপাড়া, ঢালমার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থ নড়বড়ে ও ভেঙে যাওয়া সেতুর সিমেন্টের ঢালাই দেওয়া স্লিপারগুলো অনেক আগেই ভেঙে গেছে। ক্রস অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে ভেঙে গিয়ে সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা চলাচলের জন্য সিমেন্টের ঢালাই দেওয়া স্লিপার না থাকায় লোহার অ্যাঙ্গেলগুলোর সঙ্গে গাছ ও কাঠের মাচা তৈরি করে বেঁধে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সেতুটি দিয়ে চলাচলকারীরা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৮ সালে পালপাড়ার সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সেই থেকে এখন পর্যন্ত সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রায় দুই যুগ আগে এলজিইডি এই লোহার সেতুটি নির্মাণ করে। তবে সে সময় সেতুর সঙ্গে কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী চলাচলের সুবিধার্থে নিজস্ব উদ্যোগে সেতুর উভয় পাশে সিমেন্টের সিঁড়ি নির্মাণ করেন। আজও সংযোগ সড়ক হয়নি। এই ভাঙাচোরা সেতুটি নতুন করে নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন নিয়ামতি খালের ওপর পালপাড়ার সেতুটি দুই যুগ আগে তৈরি করা হয়েছে। ওই সময়ই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। সেতু নির্মাণের পর থেকেই অতীতের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংযোগ সড়কের জন্য বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিয়েও সফল হননি। এখন আমিও চেষ্টা করে যাচ্ছি কীভাবে সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা যায়। বেশ কয়েকবার এ নিয়ে উপজেলার মাসিক মিটিংয়ে আলোচনা করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. হাসনাইন হোসেন বলেন, নিয়ামতি ইউনিয়নের পালপাড়ার সেতুটি সরেজমিন দেখে, পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিসিএস গেজেট থেকে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কাজ শুরু বৃহস্পতিবার

লেজিসলেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক শাফায়েত

জামিন নিতে গিয়ে আ.লীগের ৩ নেতা কারাগারে

সেই আফগানিস্তানের কাছেই নতি স্বীকার করল যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের শহীদ-১৩৬ ড্রোন কতটা ভয়ংকর?

পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে চবি শিক্ষার্থীরা

নারীর শারীরিক গঠন নিয়ে মন্তব্য যৌন হয়রানির শামিল : কেরালা হাইকোর্ট

ছয় নারী উদ্যোক্তাকে পুরস্কার দিল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

১০

’৭১ আমাদের শিকড়, ’২৪ আমাদের অস্তিত্ব : সারজিস আলম

১১

শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকা প্রকাশ, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

১২

হাসপাতালের ডিসপ্লেতে ‘আ.লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’, অতঃপর...

১৩

সাত বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ নিয়ে আজহারীর স্ট্যাটাস

১৪

রেকর্ড ভুল তথ্যপ্রবাহে কেটেছে ২০২৪

১৫

জলাশয় ও কৃষিজমি ভরাট বন্ধে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

১৬

ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার প্রস্তাব ছাত্র ফেডারেশনের

১৭

তামিমেরর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিসিবি

১৮

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে আসে বিএসএফ, বিজিবির অ্যাকশন

১৯

যুবদল নেতার মাসিক চাঁদার টার্গেট ৫০ লাখ টাকা

২০
X