বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের পরিষদ ও মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিয়ামতি খালের ওপর নির্মিত পালপাড়া সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় ওঠানামা করতে হয় সিঁড়ি বেয়ে। গত দুই যুগ ধরে এ বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছে নিয়ামতি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়া দুপাশের রেলিং ভেঙে যাওয়ায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোনো সময় সেতুটি ধসে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটি সমতল থেকে ৫ থেকে ৬ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে। যে কারণে এই সেতু দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না দুই যুগ ধরে। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন রুপার জোর, কৃষ্ণনগর, পালপাড়া, ঢালমার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থ নড়বড়ে ও ভেঙে যাওয়া সেতুর সিমেন্টের ঢালাই দেওয়া স্লিপারগুলো অনেক আগেই ভেঙে গেছে। ক্রস অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে ভেঙে গিয়ে সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা চলাচলের জন্য সিমেন্টের ঢালাই দেওয়া স্লিপার না থাকায় লোহার অ্যাঙ্গেলগুলোর সঙ্গে গাছ ও কাঠের মাচা তৈরি করে বেঁধে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সেতুটি দিয়ে চলাচলকারীরা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৮ সালে পালপাড়ার সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সেই থেকে এখন পর্যন্ত সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রায় দুই যুগ আগে এলজিইডি এই লোহার সেতুটি নির্মাণ করে। তবে সে সময় সেতুর সঙ্গে কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী চলাচলের সুবিধার্থে নিজস্ব উদ্যোগে সেতুর উভয় পাশে সিমেন্টের সিঁড়ি নির্মাণ করেন। আজও সংযোগ সড়ক হয়নি। এই ভাঙাচোরা সেতুটি নতুন করে নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন নিয়ামতি খালের ওপর পালপাড়ার সেতুটি দুই যুগ আগে তৈরি করা হয়েছে। ওই সময়ই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। সেতু নির্মাণের পর থেকেই অতীতের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংযোগ সড়কের জন্য বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিয়েও সফল হননি। এখন আমিও চেষ্টা করে যাচ্ছি কীভাবে সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা যায়। বেশ কয়েকবার এ নিয়ে উপজেলার মাসিক মিটিংয়ে আলোচনা করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. হাসনাইন হোসেন বলেন, নিয়ামতি ইউনিয়নের পালপাড়ার সেতুটি সরেজমিন দেখে, পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন