নেত্রকোনায় বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে নেত্রকোনায় শ্রমিক দলের মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) জেলা পাবলিক হলের সামনের সড়কে জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তারিফুর রহমান রিপনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে জেলা শ্রমিক দলের সহসভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, সকাল থেকেই নেত্রকোনা পরিবহন শ্রমিকদের ব্যানারে মানববন্ধনের জন্য জড়ো হতে থাকে জেলা শ্রমিক দলের একাংশ। এ সময় রিপনের বিরোধী পক্ষ মানববন্ধন শুরু করতে গেলে পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় মানববন্ধনকারীদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয় রিপনের সমর্থকরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি অসাংগঠনিক ও সংগঠনবিরোধী কাজের অংশ হিসেবে স্থানীয় পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি, দখল ও হুমকি-ধমকিসহ একাধিক অভিযোগে তারিফুর রহমান রিপনকে সাত দিনের ভেতর কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু ওই নোটিশে স্বাক্ষর করেন। নোটিশকে কেন্দ্র করে মানববন্ধনের আয়োজন করে শ্রমিক দলের সাবেক আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, সহসম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, নেত্রকোনার জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক কার্যকরী সভাপতি আব্দুল জলিলসহ অন্যরা।
এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রিপন জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ‘মানববন্ধনে উপস্থিত কেউ শ্রমিক দলের জেলা কমিটির সদস্য না। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট একটি অংশ শ্রমিক দলে প্রবেশের জন্য নানানভাবে পাঁয়তারা শুরু করেছে। তারাই কেন্দ্রে এ অভিযোগ পাঠিয়েছে। আমি দ্রুততম সময়ে এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তর দেব।’
এ ব্যাপার জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের জেলা কমিটির সভাপতি আকিকুর রেজা খান জানান, ‘এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দলের জন্য সম্মানহানিকর। বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। রিপনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে জেলা বিএনপির ফোরামে তদন্ত ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, ‘সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আহতদের পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন