চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে পড়ে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন অটোরিকশাচালক জানান, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে। এরপর এই উপজেলায় চলাচলকারী প্রায় চার হাজার অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া অন্যান্য পরিবহন থেকেও চাঁদা আদায় বন্ধ হয়। ফলে পরিবহন চালকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। এভাবে সাড়ে চার মাস চাঁদা আদায় বন্ধ থাকে। কিন্তু বর্তমানে এই সেক্টরটি হাত বদল হয়ে গেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওই সেক্টরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিগত ১৯ ডিসেম্বর থেকে আবারও প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় শুরু করেছেন।
অটোরিকশাচালক মজনু মিয়া বলেন, আমার অভাবের সংসার। তাই কোনো উপায় না দেখে পেটের দায়ে ভাড়া নিয়ে অটোরিকশা চালাই। কিন্তু রাস্তায় নামলেই প্রতিদিন ৪০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এটি আমাদের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাসেম আলী নামের এক অটোরিকশাচালক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দীর্ঘ সময় পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আবার এই চাঁদা আদায় শুরু হয়েছে। তাই প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, পৌরসভা থেকে টার্মিনাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতি অটোরিকশার জন্য ১০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। বাড়তি টাকা নেওয়া হলে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন