ইকবাল কবীর রনজু, চাটমোহর (পাবনা)
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৪০ হাজার মানুষের ভরসা নৌকা ও বাঁশের সাঁকো

পাবনায় চাটমোহরের মির্জাপুর এলাকায় মরা করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো। ছবি : কালবেলা
পাবনায় চাটমোহরের মির্জাপুর এলাকায় মরা করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো। ছবি : কালবেলা

ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তানি আমল, বাংলাদেশ আমলেরও প্রায় তেপ্পান্ন বছর কেটে গেল; তবুও সেতু হলো না পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মরা করতোয় নদীর ওপর বহরমপুর-মির্জাপুর সেতু। ফলে এ নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শত শত বছর ধরে। বছরের প্রায় আট মাস নৌকায় এবং বাকি চার মাস বাঁশের সাঁকোতে অতি কষ্টে পারাপার হতে হচ্ছে নদী। বহরমপুর ও বেলগাছি এ দুটি গ্রামের চারপাশেই নদী থাকায় গ্রাম দুটি উন্নয়ন বঞ্চিতও হচ্ছে দীর্ঘ বছর ধরে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীর পশ্চিম পাড়ে বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর, করকোলা, বরদানগর, চিনাভাতকুর, বহরমপুরসহ আরও বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে। পূর্ব পাড়ের মির্জাপুরে রয়েছে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, নিমাইচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ব্যাংকসহ এলাকার বিখ্যাত মির্জাপুর হাট।

এ ছাড়া আরও বেশ কিছু গ্রামের অবস্থান নদীর পূর্ব পাড়ে। বিভিন্ন প্রয়োজনে নদীর পশ্চিম পাড়ের মানুষকে পূর্ব পাড়ে এবং পূর্ব পাড়ের মানুষকে পশ্চিম পাড়ে যাতায়াত করতে হয়। নদী পারাপারে ১০ থেকে ১২টি গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে বর্ষাকালে নৌকায় আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোয় ভরসা রাখতে হচ্ছে।

বহরমপুর গ্রামের এহিয়া আলী জানান, বর্ষাকালে এ এলাকার মানুষকে খেয়া নৌকার অপেক্ষায় নদী পাড়ে বসে অপেক্ষা করতে হয়। নদীর পানি কমে গেলে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়। এ সময় সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় হতে হয় তাদের। অসুস্থ রোগী, অন্তঃসত্ত্বাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। শিশু, বৃদ্ধরা ও বিড়ম্বনার শিকার হন নদী পারাপারের সময়।

গৌড়নগর গ্রামের মজিবর রহমান জানান, বগালালী ও মরা করতোয়া নদীর ওপর বহরমপুর-মির্জাপুর ব্রিজ না হওয়ায় কয়েকটি গ্রামের হাজার মানুষকে প্রতিদিন কষ্ট করতে হচ্ছে। নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, মির্জাপুর হাটসহ ইউনিয়ন সদরে যাতায়াত করতে ব্রিজের অভাবে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জনদুর্ভোগ কমাতে, জীবনমান উন্নয়নে এলাকাবাসী দ্রুত বহরম-মির্জাপুর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঊর্ধ্বতন দপ্তরে আটটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো আছে। তার মধ্যে এ সেতুর প্রস্তাবনাও রয়েছে। এখনো সমীক্ষা, যাচাই-বাছাই হয়নি। আশা করছি আগামীতে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেতু নির্মিত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভবিষ্যৎ স্থপতিদের অনুপ্রাণিত করতে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড’

ঈদে দেশে ফেরা নিয়ে বিপাকে কুয়েত প্রবাসীরা

শুক্রবার হাতিরঝিলে শুরু হচ্ছে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ রান-২০২৫’

আওয়ামী নেতাদের জামাই আদরে আদালতে হাজির করা হচ্ছে : রিজভী

এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ ভারতের

কুয়েটের ঘটনায় ভিসির স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে : শিবির সভাপতি

অপহরণের ৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চবির ৫ শিক্ষার্থী

আইসিটি খাতের দুর্নীতি তদন্ত এবং শ্বেতপত্র প্রণয়নে টাস্কফোর্স গঠন

সিআরপি এবং মেন্টরস’ এডুকেশনের সমঝোতা স্মারক সই

প্রতারণা ও চাঁদাবাজি / মডেল মেঘনার জামিন মেলেনি 

১০

চলতি বছর দেশে আরও ৩০ লাখ মানুষ ‘অতি গরিব’ হওয়ার শঙ্কা

১১

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নেওয়ার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

১২

সীমান্তে ভারতীয় মা-ছেলেসহ ২১ বাংলাদেশি আটক

১৩

‘ওয়ার্ল্ড ল্যাবরেটরি ডে’ উপলক্ষে প্রাভা হেলথের শুভেচ্ছা

১৪

চাঁদাবাজদের ধরতে গিয়ে উল্টো গুলি করে নিরাপদে পিছু হটল পুলিশ

১৫

জিয়াউল আহসানের ১০০ বিঘা জমি জব্দ

১৬

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক তথ্য

১৭

কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে নড়েচড়ে বসছে সরকার

১৮

‘৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে ফ্যাসিবাদ আর আসতে পারবে না’

১৯

হৃদয় ভাঙার জন্য মাহির দুঃখ প্রকাশ

২০
X