দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর একটি রাজনৈতিক হয়রানিরমূলক মামলা থেকে একসঙ্গে সিলেট বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৬১ নেতাকর্মী খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা থেকে তাদের খালাস প্রদান করেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন তারা। খালাসপ্রাপ্তরা বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলাম খান। মামলার সব আসামি কারাবরণ করেন বলেও জানান তিনি।
খালাসপ্রাপ্ত কয়েকজন নেতা হলেন সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল, শিশু বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম সাইফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান, প্রচার সম্পাদক ফয়েজ আহমদ, জেলা যুবদল নেতা আবুল কালাম, পৌর যুবদল নেতা জানে আলম, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন।
রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় জেলা বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ কালবেলাকে বলেন, প্রায় ১০ বছর পর ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের করা মিথ্যা মামলার রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল কালবেলাকে বলেন, গত প্রায় ১৭ বছরে অসংখ্য মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি, তবে কখনো বিএনপিকে ছাড়িনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে দলকে আঁকড়ে ধরে অসংখ্য নেতাকর্মী তৈরি করেছি। তারা দলের দুর্দিনে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে যুদ্ধ করে মামলা-হামলার শিকার হয়ে বিএনপির পরীক্ষিত কর্মীর স্থানে আছে।
মন্তব্য করুন