ব্র্যাক ব্যাংক চকরিয়া শাখার ভল্টের ৮২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা উধাও হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর ব্যাংকের কক্সবাজারের চকরিয়া শাখা পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিদর্শনকালে ব্যাংকের ১৯ ডিসেম্বর হিসাব শেষ হওয়ার পর নগদ অর্থের পরিমাণের সঙ্গে ভল্টে রাখা নগদ অর্থের পরিমাণের সঙ্গে ৮২ লাখ ৪৪ হাজার টাকার পার্থক্য পাওয়া যায়, যা গুরুতর অনিয়ম বলে উল্লেখ করে পরিদর্শন দল।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তার নাম মোর্শেদুর রহমান। তিনি কক্সবাজার সদর থানার খুরুশখোল দক্ষিণ পেচারঘোনা এলাকার আলতাফুর রহমানের ছেলে। তিনি ব্রাক ব্যাংক চকরিয়া শাখার ক্যাশ বিভাগের হেডটেলার পদে কর্মরত ছিলেন।
মোর্শেদুর রহমান নামের এক কর্মকর্তাকে গত ২৩ ডিসেম্বর আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। মামলার এজাহার অনুযায়ী তার কাছ থেকে ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংক চকরিয়া শাখার পরিচালক নিটু বড়ুয়া প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে পরে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও এক কর্মকর্তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া কালবেলাকে জানান, দুদকের আর্থিক জালিয়াতি মামলায় (তদন্তাধীন) গত ২৪ ডিসেম্বর ব্রাক ব্যাংক কর্মকর্তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মন্তব্য করুন