নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল মৎস্যজীবী পাড়ায় ভুল চিকিৎসায় ফজর আলী নামে এক খামারির চার শতাধিক ডিমপাড়া হাঁস মারা গেছে।
শরিফুল ইসলাম নামে এক ভুয়া পশু চিকিৎসক শনিবার (৪ জানুয়ারি) খামারের সাত শতাধিক হাঁসকে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে হাঁসগুলো মারা যেতে শুরু করে।
খামার মালিক ফরজ আলী বলেন, রোববার সকালে খামারে গিয়ে দেখি শত শত হাঁস মরে পড়ে আছে। হাঁসের রোগ ধরতে পারেনি ওই ভুয়া চিকিৎসক। কেন দিল ভুল ইনজেকশন। আমি এখন নিঃস্ব। সবগুলোই ডিমপাড়া হাঁস ছিল। ৪০০ হাঁসের দাম কমপক্ষে ২ লাখ টাকা। আরও হাঁস মারা যাবে। আমি গরিব মানুষ। আমি এ ভুয়া ডাক্তারের বিচার চাই, আমার ক্ষতিপূরণ চাই।
পশু চিকিৎসক পরিচয়ধারী শরীফুল ইসলাম বলেন, বড়াইগ্রামে জোয়াড়ি এলাকায় একটি মুরগির ফার্মে চাকরি করার সুবাধে কিছু চিকিৎসা রপ্ত করেছি। এ বিষয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছি ঠাকুরগাঁও থেকে। বিভিন্ন এলাকায় হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা দিয়ে আসছি। খামারে গিয়ে দেখি হাঁসগুলোর প্লেগ ও কলেরা হয়েছে। তাই জেন্টামাইসিন ইনজেকশন পুশ করি। এতে হাঁসগুলো এভাবে মারা যাবে বুঝতে পারিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী কালবেলাকে বলেন, সাংবাদিকরা আমাকে হাঁসের মৃত্যুর খবর জানালে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এটি মর্মান্তিক ঘটনা। সে একজন ভুয়া চিকিৎসক। উনি না জেনে, না বুঝে এ ধরনের চিকিৎসা দিতে পারেন না। তার এ কাজটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ভুক্তভোগী খামারি ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিযোগ দায়ের করলে নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন