সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস কারাগারে

সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, লতিফ বিশ্বাসকে এনায়েতপুরে পুলিশ হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের দুবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।

এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে যৌথবাহিনী। আটকের পর তাকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে সেনাক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

সেনাবাহিনীর সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ আল-আমীন বলেন, যৌথ অভিযানে লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অতীতে অস্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থায় তার ভূমিকা কি ছিল, ৫ আগস্টের আগে তার ভূমিকা কেমন ছিল সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, ৫ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে লতিফ বিশ্বাস নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। তার নির্বাচনী এলাকায় হত্যাসহ একাধিক মামলা থাকলেও কোনো মামলাতেই তাকে আসামি করা হয়নি। এ কারণে তিনি এলাকাতেই অবস্থান করছিলেন। গত শনিবার রাতে তিনি এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলীর বার্ষিক ওরস মাহফিলে যোগ দিতে গেলে কিছু লোক তার গাড়ি আটকে দেয়। দরবার শরীফের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

বেলকুচি থানার ওসি জাকারিয়া হোসেন বলেন, লতিফ বিশ্বাসরে বিরুদ্ধে কোনো থানায় মামলা ছিল না।

আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে রয়েছেন। তিনি দুবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দুবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুবার সংসদ সদস্য এবং দুবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘১৪ বছর পরেও ফেলানী হত্যার বিচার না হওয়া আমাদের জাতীয় ব্যর্থতা’

দিনাজপুরে তুলার কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই

বিমানবন্দরে খালেদা জিয়া

কুমিল্লাবাসীর উদ্দেশে হাসনাতের বার্তা

রংপুরে আন্দোলনে গুলি চালানোর মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

কে হতে যাচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি?

বার কাউন্সিলের সচিব হলেন জেলা জজ কামাল হোসেন সিকদার

রাজশাহীতে শিক্ষককে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ২

এক ছটাক ধানও সংগ্রহ হয়নি ৫ বছরে

ফ্যাক্টচেকাররা পক্ষপাতদুষ্ট, বাদ দেওয়ার ঘোষণা মেটার

১০

ঢাবিতে ‘অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাব’ প্রতিষ্ঠা

১১

বগুড়ায় হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

১২

জানা গেল বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ

১৩

সেতু পার হতে হয় সিঁড়ি বেয়ে, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

১৪

মেজর ডালিম জামায়াত ও শেখ মুজিব নিয়ে কী বলেছেন

১৫

ধর্ষণকাণ্ডে গ্রামবাসীর হাতে আটক যুবলীগ নেতা

১৬

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় চাইলেন আদালতের কর্মচারীরা

১৭

রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়েও ছাত্রদলের শহীদের তালিকায় জবির সাজিদ

১৮

ঘরের মাঠে বরিশালের কাছে বিধ্বস্ত সিলেট

১৯

ডা. জাফরুল্লাহ শুধু রাষ্ট্রের নয়, মানুষের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

২০
X