উত্তরের জেলা দিনাজপুরে টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। সূর্যের দেখা মিললেও বইছে হিম বাতাস। রাতের হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশা না থাকলেও রাতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে রোববার এ জেলায় দেশের তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা না থাকলেও বইছে হিম বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছেন। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে আবারও হিমালয়ের সামনে একটি ঘূর্ণাবত অর্থাৎ বৃহৎ আকারের জলীয়বাষ্পের বলয় বিরাজ করছে, যেটি একটি প্রাচীরের মতো কাজ করছে এবং উত্তরের হিমেল বাতাসকে আটকে দিয়েছে। উত্তরের বায়ু থমকে যাওয়ায় দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করছে এবং মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে উত্তরের জেলাগুলোর কিছু কিছু জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে একটি শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে। সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯% এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।
মন্তব্য করুন