রাঙামাটির বন্দুকভাঙা রেঞ্জে পাগলিছড়া (লংগদু উপজেলা) ও যমুচক এলাকায় ইউপিডিএফের পরিত্যক্ত প্রশিক্ষণ ক্যাম্প সন্ধানের বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, আজগুবি ও পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বলে অভিহিত করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি জানান ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মুখপাত্র অংগ্য মারমা।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, ‘ইউপিডিএফ একটি প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যা গণতান্ত্রিক পন্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানেও ইউপিডিএফ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে মিলে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে। তাই আইএসপিআর যদি ‘প্রশিক্ষণ ক্যাম্প’ বলতে সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বুঝিয়ে থাকে, তাহলে তা আদৌ সত্য নয়। ইউপিডিএফ এ ধরনের কোনো ক্যাম্প পরিচালনা করে না।’
এছাড়াও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- আইএসপিআর উল্লেখিত এলাকায় ইউপিডিএফের কোনো সামরিক-বেসামরিক কিংবা সাংগঠনিক ক্যাম্প নেই।
এর আগে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ইউপিডিএফ’র (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) দুটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের সন্ধান মিলেছে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাঙামাটি সদর উপজেলার প্রত্যন্ত পাগলিছড়া ও যমচুগ এলাকায় পরিচালিত বান্দুকভাঙ্গা রেঞ্জের অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ক্যাম্প দুটির সন্ধান পাওয়া যায়।
আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের সময় ইউপিডিএফের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পাগলিছড়াতে উদ্ধার হওয়া ক্যাম্পটিতে পর্যবেক্ষণ চৌকি, প্রশিক্ষণ মাঠ, আবাসস্থল এবং সড়কসহ বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল। যমচুগে উদ্ধার হওয়া অপর ক্যাম্পটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান প্রতিহত করার জন্য বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়নের চলমান বিশেষ অভিযানে বন্দুকভাঙ্গা রেঞ্জে পাগলিছড়া ও যমচুগ এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় ওই দুটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই সময় অভিযানের মুখে ইউপিডিএফের (মূল) সন্ত্রাসীরা ক্যাম্প দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।
সূত্রে বলা হয়, যমচুগ এলাকায় সন্ধান পাওয়া ক্যাম্পটিতে বাঙ্কারসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সন্ত্রাসী বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী পরিচালিত অভিযান প্রতিরোধ করার জন্য ওই ক্যাম্পে বাঙ্কার খনন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন