রাজশাহীর পুঠিয়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার চাচা ভাই আলিউজ্জামান মুন্টু ওরফে মুন্টু মাস্টারকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আলিউজ্জামান মুন্টু উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিড়ালদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুন্টু মাস্টার আত্মগোপনে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরেন তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় কোনো মামলা নেই। রড দিয়ে পিটিয়ে মুন্টুর হাত-পা থেঁতলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিড়ালদহ বাজারে গিয়েছিলেন মুন্টু মাস্টার। কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পূর্বশত্রুতার জেরে স্থানীয় বিএনপির নেতা মো. মিঠুন (৩৫) ও মো. আহসান হাবিব (৩২) তাকে ধরে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ফেলে। এর পর লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তার হাত ও পা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি এখনও শুনিনি। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিছু দুর্বৃত্ত মুন্টু মাস্টারকে ধরে পিটিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে তার আগেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে কারা তাকে পিটিয়েছে খতিয়ে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন