আওয়ামী লীগের এক নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার পর গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল শিকদারকে (৩৮) পুলিশ আটক করে।
২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন করা হয়। তাতে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়কের সই রয়েছে। তারাই কমিটি অনুমোদন করেছিলেন। ওই কমিটির ২৩ নম্বর ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আটক শফিকুল সিকদারের নাম রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শফিকুল শিকদারকে আটকের পরপরই শতাধিক জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী থানার মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন।
এ সময় তারা শফিকুলের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থানা ঘেরাও করে রাখেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার বর্ণনা দিলেও জামায়াতের নেতারা থানা ঘেরাওয়ের কথা অস্বীকার করেছেন।
গাজীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আটক শফিকুল সিকদার ২০১৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এ কারণে তিনি পরে জামায়াতের ফরম পূরণ করে আমাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন।’
মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, অন্য একটি দলের নেতারা তাকে তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাদের দলে যোগ না দেওয়ার কারণে তারা তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে তার বিষয়ে কথা বলার জন্য জামায়াতের স্থানীয় নেতারা থানায় গিয়েছেন।
অপরদিকে সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল বারী থানার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, দল করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। দল করার কারণে কোনো নিরীহ নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করে থানায় এনে নির্যাতন করা যাবে না। এ জন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দেয়নি। প্রত্যেক নাগরিকরা যেন নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে সেজন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ সময় জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে থানার সামনে জড়ো হন।
মন্তব্য করুন