চাঁদপুরে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করায় স্থানীয় জনতার হাতে পাঁচজন আটক হয়েছেন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মতলব উত্তর থানা হেফাজতে নেয়।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মো. হেলাল, মোহাম্মদপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের শামসুল হক দর্জির ছেলে নজরুল ইসলাম, মনির হোসেনের ছেলে মো. আকাশ, কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের ছেলে মো. নিরব। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গজরা ইউনিয়নে ডুবগী গ্রামে পাম্প হাউসের সেচ ক্যানেলের জায়গায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সেখানে গিয়ে তারা চাঁদা দাবি করে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
গজরা ইউনিয়নের হাজী আবুল হোসেন, মামুন চিশতী, সিপনসহ কয়েকজন জানান, এই খালে মাটি খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড টেন্ডার দিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী সবাই মিলে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে এখান থেকে বালু উত্তোলন করে মাদ্রাসা, মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গা ভরাট করছি। এখানে এসে পাঁচজন সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের হুমকি দেয়। তখন আমরা এলাকাবাসী একত্র হয়ে তাদের আটক করে থানা পুলিশে হাতে তুলে দিই।
ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি একেএম নাজমুল হাসান, খালেদ মাহমুদ ও তামিম ইসলাম বলেন, কেউ যদি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে তাদের দায়ভার কেউ নেবে না। আইন সবার জন্য সমান। আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে কেউ অপরাধ করলে তাকে অপরাধের সাজা ভোগ করতে হবে।
মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি সেখানে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম জানান, মাটি খননের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এখানে ভেকু মেশিন দিয়ে খাল খনন করা যেতে পারে। কিন্তু ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করে অন্য জায়গায় বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন