চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবর্তে এই এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এক্সপ্রেসওয়েটির পুনরায় নামকরণ করা হয়েছে। এখন থেকে এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম হলো ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়ালসড়ক’। শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে এই এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০১৮ সালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট সংস্থাটির ৪৫৮তম বোর্ড সভায় চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। তবে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পুরোপুরি যানচলাচল শুরু না হওয়ায় এত দিন টোল আদায় করা হয়নি। এখন প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় শুরু হবে।
এই উড়ালসড়ক দিয়ে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এই সড়ক ব্যবহারে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ৩০ টাকা, কার জাতীয় গাড়ি ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ভ্যান ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও ট্রাক (চার চাকা) ২০০ টাকা এবং বাসকে ২৮০ টাকা দিতে হবে।
এ ছাড়া ট্রাক (৬ চাকা) ৩০০ টাকা ও কাভার্ড ভ্যানকে ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে।
মন্তব্য করুন