ভূমি খেকোদের এক ইঞ্চি ফসলের মাটিও দেব না। ফসলের মাটি রক্ষায় প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পড়ে নামব, তবুও তাদের শেষ দেখে ছাড়ব। গ্রামের সহজ সরল কৃষকদের ফাঁদে ফেলে ফসলের উর্বর মাটি কেটে নিচ্ছে, এসব জমি হারিয়ে কৃষকরা নিঃস্ব হচ্ছেন। আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত কিন্তু ফসলি জমির মাটি দেব না।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ফসলি জমির মাটি রক্ষায় ফসলের মাঠে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এসব কথা বলেন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক কৃষক অংশ নেন। প্রতিবাদ সমাবেশে কৃষকরা দাবি করে বলেন, স্থানীয় মনির হোসেন, নুরুল ইসলাম ওরফে ড্রেজার নুরু, কাজী মোসলেম ও যুবলীগ নেতা হাসান সরকারসহ ভূমিখেকো একটি চক্র মহেশপুর, খাইয়ার, মোগসাইর ও বুড়িরপাড় চার গ্রামের প্রায় ২০০ একর তিন ফসলি জমি ভেকু (খননযন্ত্র) ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে কেটে ফেলেছেন। এতে অন্যের জমির মাটি ভেঙে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে জমির মালিকরা কম দামে তাদের কাছে জমি বিক্রি করছেন। এতে দিন দিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শত শত কৃষক। মানববন্ধনে ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মো জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার, শাহীন মোল্লা, নাজিম উদ্দিন নান্নু, মেহেদী হাসান বি রহমান, মো. খোরশেদ আলম, মো. জুলফু মিয়া, মো জাহের মিয়া, শাহ সোহরাওয়ার্দী নয়ন।
এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম ওরফে ড্রেজার নুরু নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, ‘ফসলের মাটি কাটা একটি অপরাধমূলক কাজ। এরইমধ্যে জমি থেকে আমার সব ড্রেজার সরিয়ে ফেলেছি, আমি এই কাজ আর করব না।’
যুবলীগ নেতা হাসান সরকার বলেন, ‘আমি আগে মাটি কেটেছি, বর্তমানে আমি কোনো রকম মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত না।’
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর পর অভিযানে যাই। এ পর্যন্ত অনেক ড্রেজার ধ্বংস করা হয়েছে। মাটি কাটায় জড়িতদের জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন