সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মেজো ছেলে শামীম বিন সাঈদী বলেছেন, ‘কোরআনের পাখিকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো হ্যার্ট অ্যাটাকের কথা বলে। হার্ট অ্যাটাকের রোগী হুইল চেয়ারে চলে নাকি স্ট্রেচারে শুয়ে থাকে? বাবার চলে যাওয়া অস্বাভাবিক ছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।’
বুধবার (১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের সোবাহানিয়া দরবার শরিফের ১১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক আজিমুশ্শান ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাঈদী সম্পর্কে তিনি বলেন, হাসপাতালে বাবা এত সুন্দর মিষ্টি মধুর হাসি দিলেন, এর আগে কি কখনো এত সুন্দর হাসি দেখেছেন তার? আমি দেখিনি। আপনারা দেখছেন কিনা জানি না। যাওয়ার আগে সারা পৃথিবীর মানুষকে এত সুন্দরভাবে সালাম দিয়ে বিদায় নিয়ে গেলেন। কারো কপালে এরকম সৌভাগ্য হয় না।
শামীম বিন সাঈদী বলেন, কেউ একজন জিজ্ঞেস করেছেন- আপনার কি কষ্ট হচ্ছে? কেমন আছেন? তিনি সঙ্গে সঙ্গে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন।
তিনি বলেন, ১৭ বছরের দেশে উন্নয়ন কম হয়নি। কিন্তু মানুষের মধ্যে শান্তি ছিল না। শান্তিতে মানুষ বসবাস করতে পারেনি। কারণ আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে কোরআনের আইন বাদ দিয়ে মানবরচিত আইন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। অন্যায়ভাবে মানুষের ওপর নিজস্ব মত চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। আল্লাহর জমিনে কোরআনের আইন বাদ দিয়ে তাদের মানবরচিত আইন প্রতিষ্ঠা বেশিদিন টিকতে পারেনি।
সোবহানীয়া জামেয়া-ই-নাছেরিয়া ট্রাস্ট ময়দানে অনুষ্ঠিত মাহফিল বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসিরিনের সহসভাপতি ও সোবহানীয়া কমপ্লেক্সে, মীরসরাইয়ের পীর সাহেব (শাহ আল্লামা) আবদুল মোমেন নাছেরীর সভাপতিত্বে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস এইচ এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল আলীম, ধর্মীয় আলোচক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. রোকন উদ-দ্দৌলা, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বায়তুল মোয়াজ্জম জামে মসজিদের খতিব প্রফেসর ড. মো. সফিউদ্দিন মাদানী। এ সময় প্রধান মুফাসসির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলাহুল উম্মাহ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু হানীফ নেছারী।
প্রধান ওয়ায়েজ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুয়ত নায়েবে আমির, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির শাইখুল হাদিস আল্লামা মহিউদ্দিন রাব্বানী। বিশেষ ওয়ায়েজ হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক্যাল জামে মসজিদের খতিব ও অধ্যাপক মাওলানা বোরহান উদ্দিন, বারো আউলিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল হালিম হেলালী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মীরসরাই উপজেলার আমির মাওলানা নুরুল কবির, সোবহানীয়া জামেয়া-ই-নাছেরীয়া ট্রাস্টের পরিচালক পীরজাদা আবু তাহসিন নাছেরী।
মন্তব্য করুন