পশ্চিমে হেলে পড়া সূর্যের আভায় আলোকিত সমুদ্রসৈকত। সাগরের বালুচরে দাঁড়িয়ে সূর্যকে পেছনে রেখে ছবি তোলায় ব্যস্ত অনেকে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দেখা যায় এমন চিত্র। বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সমুদ্রসৈকতে ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে এসেছেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। বিকেলে সৈকতের এক কিলোমিটারে অন্তত ৫০ হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে। সবাই উপভোগ করেছেন বছরের সূর্যাস্ত।
সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক আশরাফ আলী বলেন, অতীতের স্মৃতি মানুষকে পেছনে ঠেলে দেয়। নতুন বছরে একটিই প্রত্যাশা দেশে শান্তি আসুক, দেশটা ভালো চলুক।
ঢাকার আগারগাঁও থেকে পরিবার নিয়ে আসা খোরশেদ আলম কালবেলাকে বলেন, কক্সবাজারের বালুকাবেলায় দাঁড়িয়ে বর্ষ বিদায় সত্যিই অসাধারণ মুহূর্ত। নতুন বছরে ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ।
বান্ধবীদের সঙ্গে দলবেঁধে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শাওমিন জান্নাত সামি জানান, নতুন বছরে প্রত্যাশা সকল বৈষম্যের অবসান হোক. দেশের শিক্ষাঙ্গনে শান্তি ফিরে আসুক।
জেলা প্রশাসন ও পর্যটন সংশিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম হয়েছে কক্সবাজারে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এই বছর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ অনুকূলে রয়েছে। তাই থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক এসেছে। এতে সব হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে শতভাগ বুকিং আছে। আরও অনেক পর্যটক কক্ষ চাইলেও দিতে পারছি না। আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-গেস্টহাউসের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সৈকতের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা অন্যকোনো অনুষ্ঠান থাকছে না। সৈকতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষেধ। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একাধিক তারকা হোটেল নিজেদের ইনডোরে কনসার্টের আয়োজন করছে। সেখানে নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে। আমরা সব বাহিনীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের টহল আরও দুই গুণ করা হয়েছে। পাশপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন