বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ নির্বিচারে মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৭ বছর গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছি। ভোটাধিকারের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সিলেটের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারের হলরুমে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ১৭ বছর আন্দোলনের ফলে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে গত ৫ আগস্ট। জনগণের বিজয়ের মাধ্যমে শিশু ও গণহত্যাকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশ থেকে স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে। এখন আমাদের দেশকে গড়তে হবে। আমরা জনগণের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে চাই। গত ১৭ বছর জনগণ ভোটাধিকার হারা। তাদের ভোটাধিকার ফেরত দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। জনস্রোতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভেসে গেছে। এ ক্ষেত্রে তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা যে ইতিহাস তৈরি করেছে, তা পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। তারা বাংলাদেশকে লুটপাট ও মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার কিছু দোসর এখনো দেশে রয়ে গেছে। তারা আবারও দেশকে আক্রমণ করতে পারে। বিএনপি দেশ ও দেশের মানুষের সামনে রাজনীতির কিছু মৌলিক বিষয় পরিবর্তনের ৩১ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি মরহুম মাহবুব আলী খান, খন্দকার আব্দুল মালেক ও এম সাইফুর রহমানকে স্মরণ করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং সিলেটের জনপ্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী, ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ ও আনসার আলীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার জোর দাবি জানান।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী ও আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী ও কলিম উদ্দিন মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হাদীয় চৌধুরী মুন্নী, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।
মন্তব্য করুন