চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের অনেক সমস্যা আছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না। জলমগ্ন থাকে শহর। মানুষ খুব অসহায় অবস্থায় থাকে। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর সবগুলো খাল খনন করে জলপ্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নগরীর ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের গুপ্তখাল পুনঃখননের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের এ খাল খনন কর্মসূচি বিএনপিরই কর্মসূচি। এক সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষকের আইলে আইলে, শ্রমিকের বাড়ি-ঘরে গেছেন। তিনি উৎপাদনমুখী রাজনীতি করেছেন। যার কারণে ওনার সময়ে গার্মেন্টস সেক্টর, মানবসম্পদ পাশাপাশি কৃষি খাতের বিকাশ ঘটেছে। উনি গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে খাল খনন কর্মসূচি করেছেন।
চট্টগ্রামের উন্নয়নে দুর্নীতি বন্ধ করা প্রয়োজন মন্তব্য করে মেয়র বলেন, গত ১৬ বছর কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে দেখেন। খাল খননের কাজটি করার কথা ছিল সিটি করপোরেশনের। কিন্তু সিডিএ কাজটি নিয়ে নিয়েছে। আবার কাজ শেষ হলে কিন্তু এটা বুঝিয়ে দিবে কাকে? সিটি করপোরেশনকে। তারা প্রায় ৩২টির মতো স্লুইস গেট করেছে। এগুলো কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় অনেক বেশি। এটা কিন্তু সিটি করপোরেশনকে করতে হবে। বর্ষাকালে আমরা বলছি ওনাদের স্লুইস গেটগুলো খুলে দিতে। স্লুইস গেট এখন বন্ধ আছে। খুলে না দিলে জলাবদ্ধতা বাড়বে। আর আমরা এখন খাল খনন কর্মসূচির ওপর জোর দিচ্ছি কারণ সামনে বর্ষাকাল। আমরা যত বেশি খাল খনন করতে পারব জলাবদ্ধতা তত কম হবে।
তিনি আরও বলেন, সিডিএর জলাবদ্ধতা প্রকল্প ২০২৬ সালে শেষ হবে। আমরা মনে করি এ দুবছর আমাদের জন্য একটু ক্রিটিক্যাল টাইম। এ দুবছর আমরা যত বেশি পারি খাল খনন করব আর নর্দমা পরিষ্কার রাখব। আমরা কোনো ধরনের প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন, কর্কশিটসহ অপচনশীল জিনিস খাল-নালায় ফেলব না। ফেললে জলাবদ্ধতা হবে।
খাল খনন কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের হাজিরা যাচাই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী।
মন্তব্য করুন