কিশোরগঞ্জের হাওরে বর্ষায় ঝড়-তুফানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়লে বাঁশকে খুঁটির টাওয়ার বানিয়ে চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বাঁশের খুঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দিয়েছে কিশোরগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি করিমগঞ্জ জোনাল অফিস। ঝুঁকিপূর্ণভাবে দীর্ঘদিন ধরে এ বাঁশের খুঁটিতেই চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের কৃষ্টপুর হাওরের সাব-মার্সিবল রাস্তার পাশে জোড়াতালি দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের খুঁটির পাশ দিয়ে শত শত গাড়ি এবং হাওরে কৃষকরা চলাচল করছে।
কৃষকরা জানান, পাঁচ-ছয় মাস আগে বর্ষায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেলে বাঁশের খুঁটি পুঁতে বিদ্যুৎ লাইন দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ অফিস বলেছিল হাওর থেকে পানি নেমে গেলে নতুন খুঁটি লাগিয়ে দিবে। এতদিন হলো এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। হাওরে শত শত কৃষকরা আতঙ্কে আছে, ঝড় তুফান হলে এই বাঁশের খুঁটি ভেঙে যাবে তখন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।
অটোরিকশাচালক শাহাব মিয়া বলেন, মানুষের চলাচলের রাস্তার পাশে বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুৎ লাইন দেওয়া হয়েছে। এখান দিয়ে প্রতিদিন শতশত গাড়ি চলাচল করে। সব সময়ই আতঙ্কে থাকে সবাই, যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাড়াতাড়ি নতুন খুঁটি বসানো দরকার।
চৌগাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বাঁশের খুঁটি সরিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে জানানো হয়েছে। তারা বলেছে পর্যায়ক্রমে করবে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বাঁশের খুঁটিটি।
কিশোরগঞ্জ জেলার পল্লী বিদ্যুৎ করিমগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আক্তারুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, বাঁশের খুঁটি সরানোর জন্য হেড অফিসে ডিজাইন পাঠানো হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। আমরা চেষ্টা করতেছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে নতুন খুঁটি স্থাপনের জন্য।
মন্তব্য করুন