সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। সেখান থেকে দুজনের প্রেম। দুবছরের প্রেমের পর ছয় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইউক্রেন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ছুটে এসেছেন অ্যান্দ্রো প্রকিপ নামে এক যুবক। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মোহাম্মদ নাম রেখে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের মেয়ে বৃষ্টি আক্তারকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় দুজনের। দুবছর প্রেম চলে তাদের মধ্যে। ছয় হাজার কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম পাল্টে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কালাছড়া গ্রামের বৃষ্টি আক্তারকে। স্বামীর সঙ্গে নাম মিলিয়ে বৃষ্টির নাম এখন বৃষ্টি প্রকিপ। বৃষ্টি কালাছড়া গ্রামের মৃত কামাল মিয়ার মেয়ে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বৃষ্টি সবার বড়। এসএসসি পাস করেছেন। ইউক্রেনীয় যুবক প্রকিপ বর্তমানে পোল্যান্ডে বসবাস করেন। তবে পেশাগত কারণে বেলজিয়ামে থাকেন।
কালাছড়া গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি। এসএসসি পাস। টুকটাক ইংরেজি জানেন। বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠান প্রকিপকে। সেই থেকে প্রেমের শুরু।
স্থানীয়রা জানান, আমাদের গ্রামে ভিনদেশি এক যুবক প্রেমের টানে ছুটে এসেছেন। আমরা অনেক খুশি। সে আশার পর শরিয়াহ মোতাবেক স্থানীয় ইমামের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে কালেমা পড়িয়ে বৃষ্টির সঙ্গে তাকে বিবাহ দেওয়া হয়। আমরা সবাই তাকে গ্রামের জামাই হিসেবে আপন করে নিয়েছি।
বৃষ্টি কালবেলাকে বলেন, তার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে প্রকিপ আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাকে আমি বলি প্রেম নয় বিয়ে করতে হবে। এরপর দুবছর অপেক্ষায় থাকি। অবশেষে সে গত ১৯ ডিসেম্বর বেলজিয়াম থেকে বাংলাদেশে আসে। সেদিনই আমাদের বিয়ে হয়। প্রকিপ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। আগামী বছর সে আমাকে পোল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ করছে। আমার পরিবারের সবাই খুশি। আমরা সবার কাছে দোয়া চাই।
প্রকিপ বলেন, বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে খুব খুশি। বাংলাদেশ ভালো লেগেছে। শিগগির স্ত্রীকে নিয়ে যাবেন পোল্যান্ডে। আগামী বছর বাংলাদেশে বেড়াতে আসব আবার। মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে অনেক খুশি আমি।
কালাছড়া মসজিদের ইমাম শাইখুল ইসলাম বলেন, আদালতের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী প্রকিপ ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে বিয়ের করে বৃষ্টিকে। পরে তারা গ্রামে ফিরে এলে সবাই তাদের স্বাগত জানায়। পাশাপাশি প্রকিপ সামাজিকভাবে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক কালেমা পড়ে বিবাহ সম্পন্ন করে।
মন্তব্য করুন