কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মাধাইয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল পুরো বাজার। এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাধাইয়া বাজারে মসজিদের পাশের একটি মিষ্টির দোকান থেকে আগুনে সূত্রপাত ঘটে। চান্দিনা, কুমিল্লা ও দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুনের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বাজারের একটি দোকানে আগুন দেখতে পায় তারা। আগুনের তীব্র ভয়াবহতায় ক্ষণিকের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাজারে। খবর পেয়ে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কাজ শুরু করলেও আগুন ছড়িয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একপর্যায়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায় একের পর এক দোকান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাধাইয়া এলাকায় পানির সংকট থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় ব্যয় হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। ততক্ষণে পুড়ে ব্যবসায়ীদের সব কিছু ছাই হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক নিউটন দাস জানান, আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দাউদকান্দি এবং কুমিল্লা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হন। প্রত্যেক স্টেশনের দুটি করে তিন স্টেশনের ৬টি ইউনিট কাজ করে। সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। একটি মিষ্টির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে তা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কত লাখ বা কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা হিসাব না করা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে আমাদের সব কিছু পুড়ে গেছে। দোকানগুলোতে আমাদের কোটি টাকার মালামাল ছিল। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। মাধাইয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কে এম জামাল বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।
এদিকে সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিয়া হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে বাজার কমিটিকে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন