সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। তাদের সুযোগ দিলে এদেশে ফ্যাসিবাদের পুনর্জন্ম হবে। আপস করলে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। এ দেশের ছাত্র-জনতা তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিবাদের জায়গা হবে না।
রোববার ( ২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউসে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, সচিবালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকার কথা। সেখানে আগুনে সবকিছু পুড়ে যাবে তাতে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। বিষয়গুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে হবে।
বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাড়তি পাওনা কিছু নেই বলে মনে করেন সিনিয়র সচিব মুশফিক। তিনি বলেন, সমগ্র দুনিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। জাতির প্রয়োজনে তিনি সামনে এসে দেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন।
ড. ইউনূস প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমস তাকে নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। নিউইয়র্কের প্রেসিডেন্ট বা প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়। তাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হয়েছে সেই সেলিব্রেটি সাংবাদিককে।
মুশফিকুল ফজল আক্ষেপ করে বলেন, জাতিকে ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য যারা জীবন দিতে পিছপা হননি, জাতীয় বিপ্লবে গিয়ে যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, সেসব ছাত্র-জনতার চিকিৎসার জন্য এখনো আকুতি জানাতে হবে কেন? তারা আমাদের জাতীয় বীর। বিষয়টি যাতে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয় সে জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি সিলেটের সম্প্রীতির অনন্য নজিরের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, এই সম্প্রীতির সুযোগ যাতে ফ্যাসিবাদের দোসররা নিতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই সিলেটেই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে দুষ্কৃতকারীদের হাতে লুট হওয়া ব্যবসায়ীদের মালামাল ফেরত দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন