ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুরের সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের জুড়াপাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। পরে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শেরপুর জিনোম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিফাত পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে নকলা উপজেলা থেকে শেরপুরগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাতশালা ইউনিয়নের জোড়াপাম্প এলাকায় পৌঁছালে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ পাঁচজন ও গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন অটোরিকশাচালক লোকমান হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোখলেছুর রহমান ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম, কামরুজ্জামান বাবু ও তার ছোট বোন মাইশা তাসলিমা মীম এবং নিনা রানী।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করেন। নিহতদের মরদেহ শেরপুর সদর থানায় নিয়ে এসে সুরতহাল শেষে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস এবং অটোরিকশা আটক করে শেরপুর সদর থানায় নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ওসি জুবায়েদুল আলম ছয়জন নিহতের কথা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশের আওতায় নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ কাজ করছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মুহাম্মদ তারেক বলেন, বেপরোয়া গতি কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহগুলো উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়েছি।
মন্তব্য করুন