সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখ্তসহ স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ পাঁচ নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র এ আদেশ দেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কোর্ট ইন্সপেক্টর আকবর হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে মেয়র নাদের বখ্তসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখ্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোয়েব আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহারুল আলম আফজল, ছাত্রলীগ কর্মী মুছিবুর রহমান আদালতে এসে উপস্থিত হন। এ সময় মেয়র নাদের বখতের সমর্থক এবং স্বজনরাও আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন। আদালতের বিচারক আত্মসমর্পণকারী সকলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে, আদালত প্রাঙ্গণে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুলেন স্বজনরা। জয় বাংলা স্লোগান শুনে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এর প্রতিবাদ জানান।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউর রহিম শাহীন বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি, জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান নয়। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এমন স্লোগান তুলেছেন। এ ঘটনার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে দাবি করেছি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বললেন, দ্রুত বিচার আদালতে সাবেক মেয়র নাদের বখ্তসহ পাঁচজন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে আমরা বলেছি, তারা নির্দোষ, ঘটনাস্থলে তারা ছিলেন না। মেয়র ওনার কাজ নিয়ে কার্যালয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এখন তিনি অসুস্থ থাকায় স্বেচ্ছায় আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। আমরা সবার জামিনের প্রার্থনা করছি। আদালত দীর্ঘক্ষণ আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। পরে বাদীপক্ষের বক্তব্য শুনে জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গেল ৪ আগস্টে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আহত দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের জহুর আলীর ভাই হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় পৌর মেয়র নাদের বখতসহ আদালতে আত্মসমর্পণকারী পাঁচজনই এজাহার নামীয় আসামি।
মন্তব্য করুন