বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেন অস্থির হয়ে যায়, তারা যেন সুন্দরভাবে দেশ চালাতে না পারে, সেজন্য শেখ হাসিনা নির্লজ্জের মতো দিল্লিতে বসে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ সরকারকে ব্যর্থ করতে সচিবালয়ে আগুন লাগার পেছনেও তার হাত থাকতে পারে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হলে জনগণ আবার রাজপথে নামবে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মামুন মাহমুদ বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে কীভাবে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের সঙ্গে রাজার মতো আচরণ না করে রাষ্ট্রের সেবক ও জনগণের গোলাম হয়ে কাজ করবে, এমন একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই ৩১ দফার মূল লক্ষ্য। এসব দফা বাস্তবায়ন হলে আগামীর বাংলাদেশ হবে নিরাপদ। সৃষ্টি হতে পারবে না কোনো স্বৈরশাসক।
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি যৌক্তিক সময় দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সে সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। সে নির্বাচনে জনগণ যেন তাদের ভোট দিতে পারে। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল। বিএনপি ১৫ বছর ধরে আন্দোলনের মাধ্যমে যেসব দাবি জানিয়ে আসছিল, তার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল জগণের ভোটের অধিকার। তাই এ সরকারকে বিএনপি পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আতাউর রহমান ওরফে আক্কেল আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মারুফের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম, বিশেষ আলোচক ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাকের আহমেদ সোহান, জেলা বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম মানিক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মৃধা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি সিফাতুর রহমান রাজু।
নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধান, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামসুদ্দিন শেখ, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লেয়াকত হোসেন লেকু, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন