হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ফেসবুক লাইভে প্রতিপক্ষকে নিয়ে কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের মুহিত মিয়া ও শেখ অলিউর রহমানের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছানু মিয়া (৪০), ধনু মিয়া (৫২), মুহিত মিয়া (৬০) ও রেনু মিয়াকে (৪২) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আহতদের উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের মুহিত মিয়া ও শেখ অলিউর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মুহিত মিয়ার পক্ষের ধনু মিয়ার ছেলে রনি মিয়া তার ফেসবুক লাইভে শেখ অলিউর রহমানের ভাইযের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করে কথাবার্তা বললে বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত দশজন আহত হন।
এরই জের ধরে শনিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন পুনরায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে নারীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় রুপালি আক্তার (১৫), আশরাফুল আলম (২০), সালেক আহমদ (২৮), ইমরান মিয়া (২৩), আশাদুল (২০), রাসেল মিয়া (২৭), জুয়েল মিয়া (২৫), নুর মিয়া (৪৫), ইমন মিয়া (২৫), কালাম মিয়া (৪০), আব্দুস সহিদ (৭০), আলী হোসেন (৩৫), রফিক মিয়া (২০), হৃদয় মিয়া (২২), সাদেকুর মিয়া (২৪), ধলাই মিয়া (৫০), আব্দুস সালাম (৪০), রাসেল মিয়া (৩৮), ওয়াহিদ মিয়া (৬০), খুর্শেদ মিয়া (২২), মোস্তাকিম (৪২), রহিমা বেগম (৫০), সুবেল মিয়া (২০) ও রুবেল মিয়াকে (৩০) হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাছান কালবেলাকে বলেন, দুই পক্ষের পূর্ব বিরোধ ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে কটূক্তি করাকে নিয়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এরই জেরে শনিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়৷ তবে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন