অনলাইন জুয়ার এজেন্ট চ্যানেল পরিচালনার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুজনকে আটক করেছে মেহেরপুর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাইবার আইনে মেহেরপুর সদর থানায় দায়ের করা মামলা নম্বর ২৬। অতঃপর গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আশিক ও স্বপনকে কোটিপতিদের গ্রাম বলে খ্যাত কোমরপুরের ঈদগাহ তলা পাড়ার একটি সেলুন (চুল কাটার দোকান) থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের এসআই মনিরের নেতৃত্বে একটি দল।
মেহেরপুরের ওসি ডিবি ও সদর থানার ওসি উভয়েই সাইবার আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, মেহেরপুরের গোপালপুর গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল আশিক ইকবাল ও আওলাদ হোসেনের ছেলে স্বপন ইকবাল। গ্রেপ্তারকৃত আশিক ইকবাল যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বডিগার্ড হিসেবে কর্মরত। গ্রেপ্তার করার সময় তাদের কাছ থেকে অনলাইন জুয়া সাইট মোস্ট বেটের সাব এজেন্ট চ্যানেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে সাইবার ক্রাইম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে ।
মেহেরপুর জেলা পুলিশের একাধিক সূত্র কালবেলাকে জানিয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৭ ডিসেম্বর বিকালে কোমরপুর গ্রামের ঈদগাহ তলা পাড়ার একটি সেলুনে অভিযান চালিয়ে আশিক ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে থাকা মোবাইল স্ক্যান করে রাশিয়া থেকে পরিচালিত অনলাইন জুয়ার মোষ্টবেট সাইটের সাব-এজেন্ট অ্যাপস পাওয়া যায়। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে আনা হয়। শনিবার দিনভর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অপরাধের বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে মামলা দায়েরপূর্বক গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, 'জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দুইজন সাইবার ক্রাইমকারীকে গ্রেপ্তার করে। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে আটকৃত স্বপন ইকবাল ও পুলিশ কনস্টেবল আশিক ইকবালের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে মামলা দায়ের করে। আমরা সদর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করেছি মাত্র।'
বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি কালবেলাকে বলেন, 'সমগ্র বিষয়টি তদন্তাধীন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে আমার আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া ঠিক হবে না।
মন্তব্য করুন