গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ছাত্র-তরুণরা ধ্বংসের মুখে থাকা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কুমিল্লা টাউন হলে আয়োজিত কেমন বাংলাদেশ চাই শীর্ষক গণসংলাপে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে জুলাইয়ের পর যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে তার কোনো সীমা নেই। প্রত্যাশায় কোনো সীমা থাকে না। কিন্তু বিনির্মাণে সীমাবদ্ধতা থাকে। আর এই দুইয়ের ফারাকেই কাজ করে রাজনৈতিক নেতারা। জুলাই অভ্যুত্থানে যেই আবেগীয় বন্ধন তৈরি হয়েছে তা কিন্তু আর বেশি দিন কাজ করবে না। এর সমাধান হলো, অভ্যুত্থানের জন্ম নেওয়া নতুন শক্তিকে স্বীকৃতি দিতে হবে। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কারণেই আওয়ামী রেজিম ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পেরেছে। পাশাপাশি জনগণের প্রত্যাশার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এভাবেই জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণ হবে। জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। এটা সবার মনে রাখা দরকার, শেখ হাসিনা কিংবা এর আগেও যত দুঃশাসন হয়েছে তারা যে ব্যবস্থার ওপর দাঁড়িয়ে দুঃশাসন কায়েম করেছে সে ব্যবস্থা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। সে ব্যবস্থা বদল করা একটি বড় কাজ। বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি ক্ষমতা কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখানো হচ্ছে, আওয়ামী লীগই দেশ শাসন করবে। প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা যাবে না। এই সমস্যাকে যদি সমস্যা মনে না হয়, তাহলে অনেক বড় সমস্যা। বাহাত্তরের সংবিধানের ধারাবাহিকতা হলো বাকশাল। আমরা চাই মানুষের পরিচয়ই যাই হোক না কেন সেটা রাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। সবাই নাগরিক, সবার মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। সবক্ষেত্রেই ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে। এর বাইরে কোনো বন্দোবস্ত চাই না।
গণসংহতি আন্দোলন কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক ইমরাদ জুলকারনাইনের সভাপতিত্বে গণসংলাপে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ রুমিসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন