যশোরের মনিরামপুরে প্রায় দেড়শ বছরের দুষ্প্রাপ্য শ্বেতচন্দন গাছ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কর্তৃপক্ষ। কোনো কাজে না এলেও পরিবারের ঐতিহ্য রক্ষায় নিয়ম করে দিতে হচ্ছে পাহারা।
শ্বেতচন্দনের বোটানিক্যাল নাম স্যান্টালুম এ্যালবাম। শ্বেতচন্দনের আদিবাস ভারতে হলেও শ্রীলঙ্কাতেও পাওয়া যায়। ভারতের কর্ণাটক, তামিলনাড়ুসহ কয়েকটি জায়গায় এই গাছের অস্তিত্ব দেখা যায়।
গাছটি মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের পীরবাড়ি খ্যাত কাশীপুর সিদ্দীকীয়া আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রয়েছে। প্রায় দেড়শ বছর আগে এ গাছটি পীরবাড়ির একজন পূর্বপুরুষ ভারত থেকে নিয়ে এসে এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রোপণ করেন।
জানা যায়, শ্বেত বা সাদা, লাল ও পিত এই তিন ধরনের চন্দন গাছের মধ্যে শ্বেতচন্দন গাছ অতি মূল্যবান। গাছটির কাঠ প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার হয়। এই গাছের মূলত পাকা বা পরিপক্ব (কাঠ) অংশটি ব্যবহৃত হয়। এ গাছের মধ্য ভাগ থেকে এক ধরনের তেল উৎপাদন হয়, যা খুবই মূল্যবান।
পীরবাড়ির বর্তমান পীরজাদা হাফিজুর রহমান জানান, শত বছর আগে তার দাদা মরহুম আব্দুস সবুর ভারতের কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় পড়তে যান। তিনি ভারত থেকে এই গাছের চারা এনে মাদ্রাসায় রোপণ করেন। তখনো কেউ জানতেন না এটি কী গাছ? দাদা প্রয়াত হওয়ার অনেক পরে জানতে পারেন এটি শ্বেতচন্দন গাছ। প্রায় দেড়শ বছর বয়স হলেও গাছটি উচ্চতায় ১৮ মিটার।
তিনি আরও জানান, বছর দশেক আগে কয়েকজন অপরিচিত লোক এসে এই গাছটি ৫ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু গাছটিতে পূর্বপুরুষের হাতের ছোঁয়া থাকায় পারিবারিক ঐতিহ্য হিসেবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে জানতে পারেন গাছটি চুরি হতে পারে। তারপর থেকে নজরে রাখা হয়।
মন্তব্য করুন