বরগুনা আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের বদলি আদেশ প্রত্যাহার ও তাকে কর্মস্থলে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এতে মানববন্ধনও করেছে স্থানীয় পৌর বিএনপি, যুবদল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, ইসলামী আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররাসহ সর্বস্তরের জনগণ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে আমতলী পৌর বিএনপি ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কবির ফকির, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জালাল খান, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রুহুল আমিন টিপু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক, পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. জামাল খানসহ শত শত নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ।
বক্তব্যে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কবির ফকির বলেন, আমতলী একটা অভাগা উপজেলা। এখানে ভালো অফিসার বেশি দিন থাকে না। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। যেটি প্রতিরোধে ইতোমধ্যে তিনি কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করতে ইউএনও আশরাফুল আলম স্যারের কোনো বিকল্প নেই। তার মতো সৎ অফিসার উপজেলায় অন্তত আরও দুই বছর থাকা দরকার। তাই তার বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাই। অন্যথায় মহাসড়ক অবরোধ, হরতালসহ আরও কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. আবদুল্লাহ।
উপজেলার বাসিন্দা ওবায়েদ খান বলেন, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই দুর্নীতিমুক্ত করতে প্রশাসনে তার মতো জনবান্ধব কর্মকতা ভীষণ প্রয়োজন। তার অসাধারণ সততা, বিচক্ষণশীলতা এবং দায়িত্বশীলতার মধ্য দিয়ে আমতলী উপজেলাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে তাকেই আমতলীতে খুবই প্রয়োজন।
এ ছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আমতলী বকুলনেছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসী, মফিজউদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফাতেমাতুজ জোহরা মৈত্রী ও বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত চিঠিতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমকে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ইউএনওর বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমতলীতে দফায় দফায় কর্মসূচি দেয় স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন